Ahasan
এই মেয়ে তোমাকে ভালোবাসি
তুমি কেন বোঝনা সে কথা ?
দূরে দূরে থেকে কেনো
দাও শুধু ব্যাথা?
হৃদয়ে প্রেমের তুফান
শুনতে কি তুমি পাও?
হৃদয় উজাড় করে প্রিয়া
শুধু ভালোবাসা দাও।
প্রিয়া তোমার বাঁকা ঠোঁটের
মিষ্টি মধুর হাসি,
জানো কি তুমি
আমি বড়ই ভালোবাসি।
হৃদয় মাঝে যখন তখন
দাও যে তুমি উঁকি,
ভালোবাসা দিও শুধু
দিও নাকো ফাঁকি।
তোমার আশায় বসে থাকি
উদাস করে মন,
এই মেয়ে বল না
দেবে কি ঐ মন?


Ahasan
তোমাকে আপন করে আবার কবে পাবো বলোতো?
একটি করে দিন চলেযায় তারপর মাস পেরিয়ে বছর,
আমি অপেক্ষায় গুনি সময়ের প্রতিটি প্রহর।
সব বাধা ভেঙ্গে তুমি আমার হবে একান্তই আমার।
আমার আরশিতে বধুবেশে কবে ধরাদিবে বলোতো?
আমি গুনে গুনে ভুল করে আবার যে তা গুনি
কবে হবে শেষ আমার চাওয়া, না তুমি, না আমি জানি।
তবুও আশায় থাকি হয়তো অচিরেই পাবো তোমায়
বেশিদিন হয়তো আর নয়, তুমি আমার হবে নিশ্চয়।
শিয়রে জ্বালিয়ে বাতি দু’জন মিলে জাগব রাতি
হাতে রেখে হাত,আবার কবে বলোতো?
আবার হবে ভালোবাসাবাসি হবে মধুর মিলন দু’ জনে
দু’টি দেহ একহবে, হবে মিলন দুটি মনে-মনে।
বুকের গহীনে পুঞ্জবিত ব্যাথা বেদনা সবহবে অবশান
সখি তোমার তরে সপিব আমার এই মন প্রাণ।
সুখি তোমার দু’চোখে রেখে মোর দুই চোখ
আকুন্ঠে পিয়াবো মর্তলোকের যতআছে সুখ
সখিআবার কবে হবে সেই মুধুর লগন,বলোতো?
বিরহের এই কন্টক বেষ্টিত র্দুগম পথ পাড়িদিয়ে
আমার এই মুরু সম বুকে মুখ লুকিয়ে
ভালবাসার বিশুদ্ধ শরবরে তুমি আবার কবে
অবগাহন করিবে বলোতো?
Ahasan
যদি তুমি চাইতে
ছিনিয়ে আনতাম আমি তোমাকে
ঝড়, বৃষ্টি প্লাবন তোমাকে আটকে রাখার মত
যত নর পশুর বাঁধা আসুক না কেন?
সব কিছু ভেঙ্গে চুড়ে হৃদয়ের বন দিয়ে
বেধে আনতাম আমি তোমাকে।
যদি তুমি চাইতে
গড়তে পারতাম একটা সুখের নীড়
স্বপ্নের ভালবাসা হতো বাস্তবের সম্মুখীন
কত যে, স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়ে হৃদয়হীনা পাষানীর মতো
চলে গেলে আমায় ফেলে।
যদি তুমি চাইতে
অথৈ সাগর আমি দিতান পাড়ি
তুমি সাগর হয়ে আমায় ভাষাতে
আমি অনিন্দসুন্দর তোমার বুকে সুখের প্রহর কাটাতাম
আমি মেঘ হয়ে আকাশের বুকে চলে যেতাম
আবার বুষ্টি হয়ে নেমে আসতাম তোমার বুকে
এত ভালবাসারই প্রতিদান তুমি দিলে, আমায় ভুলে
Ahasan
আজ ত্রকাকী র্মুহুতে শুধু তোমার কথা মনে পড়ে
তোমার সাথে আমার প্রতিটি স্মৃতি
খনে খনে দোলা দেয় ।
ত্রকাকী জীবন খুবই কষ্টের, খুবই বেদনাদায়ক, খুবই মর্মান্তিক
ত্রইসব স্মৃতি যতই ভুলে যেতে চাই
ততই মনে পড়ে ।
তোমার শরীরের প্রতিটি অংগে অংগে
আমার র্স্পশের ছোয়া
আমার র্স্পশে তুমি পাগল হয়ে যেতে
বলতে আরও ছুঁয়ে দাও, আরও কাছে আসো
আরও আলিংগন করো ।
তোমার মলিন ঠোঁটে ছুঁয়ে দিতাম আমার আবেগের ঠোঁট
ঠোঁটে ঠোঁটে দুজনে হারিয়ে যেতাম বহুদুরে ।
জানি না আজও কি তোমার মনে পড়ে তা
আমি তো পারছিনা ভুলতে, কিছুতেই ভুলতে
আমাদের ভালবাসার ছোঁয়া ভালবাসার প্রতিশ্রুতি
আমাদের স্বপ্ন, আমাদের আশা ।
হায়রে বিধাতা কেন মোদের করলে নিরাশা
কি অপরাধ করেছি আজও যে কষ্ট পাই
ত্রই কষ্টের মুল্য কে দেবে
কে দেবে ।।
Ahasan
......মৃত্যুর মত সত্য তুমি আসবে
আমার ভালোবাসার উষäতায় গলে গলে
বহমান নদী হয়ে অনন্ত মোহনায় €
......তোমার কতটা উষäতা লাগবে বলো
থার্মোমিটারের পারদের শেষ চিহ্ন পর্যন্ত
আমি ততক্ষণও থাকবো তোমার অপেক্ষায়।
.......তুমি আমার পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে
আস ষড় ঋতুর রঙ রূপ নিয়ে
কিসের স্বাদহীনে আমাকে ঘিরে বিষন্নতা।
......আজ আমি সাগর মহাসাগরের উপরে
উড়ন্ত চাতক, সুখ-শান্তি জলের চাবুক পেতে
চীনের প্রাচীর তব হৃদয়ে, ভাঙবে আমার­
ভালোবাসার পবিত্রতা ।
Ahasan
সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা;
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে;

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;
দূর থেকে দূরে – আরো দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেয়োনাকো আর|

কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে!
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজ;
তার প্রেম ঘাস হয়েসুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা;
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে;

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;
দূর থেকে দূরে – আরো দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেয়োনাকো আর|

কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে!
আকাশনীলা জীবনানন্দ দাস
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজ;
তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে|

সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় আজ ঘাস;
বাতাসের ওপারে বাতাস-
আকাশের ওপারে আকাশ|
Ahasan
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আামি কী এ-হাতে কোনো পাপ করতে পারি?
শেষ বিকেলের সেই ঝুলবারান্দায়
তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো
যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে
নীরার সুষমা
চোখে ও ভুরুতে মেশা হাসি, নাকি অভ্রবিন্দু?
তখন সে যুবতীকে খুকী বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়-
আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে
মনে মনে বলি,
যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো-
ছুয়ে দিই নীরার চিবুক
এক হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ-হাতে আর কোনোদিন
পাপ করতে পারি?
এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালবাসি-
এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায়?
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনেপড়ে বিষম জরুরী
কথাটাই বলা হয় নি
লঘু মরালীর মত নারীটিকে নিয়ে যাবে বিদেশী বাতাস
আকস্মিক ভূমিকম্পে ভেঙ্গে যাবে সবগুলো সিঁড়ি
থমকে দাঁড়িয়ে আমি নীরার চোখের দিকে····
ভালোবাসা এক তীব্র অঙ্গীকার, যেন মায়াপাশ,
সত্যবন্ধ অভিমান-চোখ জ্বালা করে ওঠে-
সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালবাসি-
এই ওষ্ঠ আর কোনো মিথ্যে কি মানায়?
Ahasan

হাত পেতে আছি দাও

চোখ পেতে আছি দাও

বুক পেতে আছি দাও

অবহেলা দাও অপেক্ষা দাও

বিশবাঁও জলে

আমাকে ডোবাও

তুলে এনে ফের

আমাকে ঘোরাও

যাক ঘুরে যাক

নাগর দোলাও

দাও তুমি দাও অপমান দাও

চাও বা না চাও নাও

পুড়ে খাঁটি সোনা নাও

আঁচলে বেঁধো না তাও

এতো তুচ্ছতা প্রাপ্য আমার?

সিঁড়ি খুঁজে চলি নরকে নামার।

অন্ধ ভ্রমর গেঁথেছে অমর

শব্দপুঞ্জ ডানায় তোমার

কী অর্থ তার বুঝবে কী আর!

সিঁড়ি খুঁজে চলি নরকে নামার।

শুধু ধ্রুবপদ তোমাকে দিলাম

ভালোবাসা নাও ভালোবাসা নাও

তোমার জন্য জীবন নিলাম

করেছি বলেই

শুধু শূন্যতা বিনিময়ে দাও…

হাত পেতে আছি দাও

চোখ পেতে আছি দাও

বুক পেতে আছি তাও…

Ahasan

কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায়

কেমন করে বলি?

কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর,

যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান

দিগন্ত থেকে দিগন্তে;

কী ভালো আমার লাগলো এই আকাশের দিকে তাকিয়ে;

চারদিক সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা, কুয়াশায় ধোঁয়াটে,

মাঝখানে চিল্কা উঠছে ঝিলকিয়ে

তুমি কাছে এলে, একটু বসলে, তারপর গেলে ওদিকে,

স্টেশনে গাড়ি এসে দাড়িয়েঁছে, তা-ই দেখতে

গাড়ি লে গেল!- কী ভালো তোমাকে বাসি,

কেমন করে বলি?

আকাশে সূর্যের বন্যা, তাকানো যায়না

গোরুগুলো একমনে ঘাস ছিঁড়ছে, কী শান্ত!

-তুমি কি কখনো ভেবেছিলে এই হ্রদের ধারে এসে আমরা পাবো

যা এতদিন পাইনি?

রূপোলি জল শুয়ে-শুয়ে স্বপ্ন দেখছে; সমস্ত আকাশ

নীলের স্রোতে ঝরে পড়ছে তার বুকের উপর

সূর্যের চুম্বনে।-এখানে জ্বলে উঠবে অপরূপ ইন্দ্রধণু

তোমার আর আমার রক্তের সমুদ্রকে ঘিরে

কখনো কি ভেবেছিলে?

কাল চিল্কায় নৌকোয় যেতে-যেতে আমরা দেখেছিলাম

দুটো প্রজাপতি কতদূর থেকে উড়ে আসছে

জলের উপর দিয়ে।- কী দুঃসাহস! তুমি হেসেছিলে আর আমার

কী ভালো লেগেছিল।

তোমার সেই উজ্জ্বল অপরূপ মুখ দ্যাখো, দ্যাখো,

কেমন নীল এই আকাশ-আর তোমার চোখে

কাঁপছে কত আকাশ, কত মৃত্যু, কত নতুন জন্ম

কেমন করে বলি।

Ahasan

তারপরও কথা থাকে;

বৃষ্টি হয়ে গেলে পর

ভিজে ঠাণ্ডা বাতাসের মাটি-মাখা গন্ধের মতন

আবছায়া মেঘ মেঘ কথা;

কে জানে তা কথা কিংবা

কেঁপে ওঠা রঙিন স্তব্ধতা।

সে কথা হবে না বলা তাকে:

শুধু প্রাণ ধারণের প্রতিজ্ঞা ও প্রয়াসের ফাঁকে ফাঁকে

অবাক হৃদয়

আপনার সঙ্গে একা-একা

সেই সব কুয়াশার মত কথা কয়।

অনেক আশ্বর্য কথা হয়তো বলেছি তার কানে।

হৃদয়ের কতটুকু মানে

তবু সে কথায় ধরে!

তুষারের মতো যায় ঝরে

সব কথা কোনো এক উত্তুঙ্গ শিখরে

আবেগের,

হাত দিয়ে হাত ছুঁই,

কথা দিয়ে মন হাতড়াই

তবু কারে কতটুকু পাই।

সব কথা হেরে গেলে

তাই এক দীর্ঘশ্বাস বয়,

বুঝি ভুলে কেঁপে ওঠে

একবার নির্লিপ্ত সময়।

তারপর জীবনের ফাটলে-ফাটলে

কুয়াশা জড়ায়

কুয়াশার মতো কথা হৃদয়ের দিগন্তে ছড়ায়।

Ahasan

কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে

গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন।

তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও

কতবার যে আমি সে কথা বলিনি

সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন।

তোমার হাতের মৃদু কড়ানাড়ার শব্দ শুনে জেগে উঠবার জন্য

দরোজার সঙ্গে চুম্বকের মতো আমি গেঁথে রেখেছিলাম

আমার কর্ণযুগল; তুমি এসে আমাকে ডেকে বলবেঃ

এই ওঠো,

আমি, আ…মি…।

আর অমি এ-কী শুনলাম

এমত উল্লাসে নিজেকে নিক্ষেপ করবো তোমার উদ্দেশ্যে

কতবার যে এরকম একটি দৃশ্যের কথা আমি মনে মনে

কল্পনা করেছি, সে-কথা আমার ঈশ্বর জানেন।

আমার চুল পেকেছে তোমার জন্য,

আমার গায়ে জ্বর এসেছে তোমার জন্য,

আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।

তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,

আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য।

Ahasan

বড় বড় ত্যাগ যতো সহজ

ছোটো ছোটো ত্যাগ ততোই কঠিন

বড় ত্যাগে এক ধরনের অহম আছে

ছোটো ছোটো ত্যাগে কোনো ঘোষনা নেই

বড় ত্যাগ প্রত্যাশা করে সহস্র সাধুবাদ

মানুষের করতালি ইতিহাসে স্বাক্ষর

ছোটো ছোটো ত্যাগ কিছুই চায় না

সহজাত সে এক প্রবৃত্তি

দারুন গরমে ট্রেনে জানলার সীট

প্রচণ্ড ভীড়ে বাসের আসন

দীর্ঘ কিউতে নিজ স্থান

অনায়াসে সে ছেড়ে দেয় অচেনা কাউকে

তাঁর প্রয়োজন বেশি একথা ভেবে-

বড় ত্যাগে বড় বড় ইমারৎ ওঠে

হাসপাতাল-স্কুল-কলেজ-এতিমখানা

ছোটো ছোটো ত্যাগ স্ফুলিঙ্গের মতো

একটু জ্বলেই ফুরিয়ে যায়

কেউ তাকে মনেও রাখে না

না যে ছাড়ে, না যে পায়

তবুও অভ্যেসবশত ছোটো ছোটো ত্যাগ

বৃষ্টিতে ছাতা মেলে দেয় অন্যকে

আহার্যের ভাগ দেয় সহযাত্রীকে

কারো অসুবিধায় এগিয়ে যায় দুপা

বড় ত্যাগ কখনো সখনো কেউ কেউ করে

মানুষের মতো মানুষ না হয়েও তা সে পারে

ছোটো ছোটো ত্যাগের লেখাজোকা নেই

প্রাত্যহিক জীবনের এইসব টুকরো টুকরো ত্যাগ

একজন মানুষকে সনাক্ত করে মানুষ বলে

সেই মানুষ হওয়া সত্যিই সহজ নয়।

Ahasan

ব্যস্ত সমাজের থেকে কবিতার নির্বাসন হয়ে গেছে কবে।

সফল ও সুখী মানুষেরা আজকাল কবিতার ধারও ধারে না,

তারা সকলেই সবকিছু বোঝে, বোঝে জীবনবীমার গল্প;

বোঝে হাসিখুশি, সুড়সুড়ি-মাখা, টিভি সিরিয়াল;

বোঝে ঝোপ বুঝে কোপ মারা, বোঝে হর্ষদ মেহেতা,

বোঝে কতখানি ধান থেকে জন্ম নেয় ঠিক কতখানি চাল,

শুধু কবিতা বোঝে না, বোঝে না যে তার জন্য

লজ্জা নেই কোনও,

সুপ্রাচীন সুতীব্র আর্তিতে ভরা মায়াবী শিল্পের দিক থেকে

সম্পূর্ণ ফিরিয়ে পিঠ বেশ আছে সুসভ্য প্রজাতি।

শুধু মাঝে মাঝে খুবই নির্জনে কোনও এক পবিত্র মুহূর্তে

প্রাণের ভিতর দিকে বেজে ওঠে বাশিঁ, অলৌকিক সেই বাশিঁ।

রন্ধনে ব্যসনে ব্যস্ত সুখী গৃহকোণ কেঁপে ওঠে,

বিস্মৃতা রাধার সমস্ত হৃদয় জুড়ে কোটালের বান ডাকে

উথাল পাথাল, খুব মাঝে মাঝে এরকম হয়, হয় নাকি?

ভুলে যাওয়া অতিপূর্ব প্রপিতামহের মতো রক্তের

ভিতরে ঢুকে পড়ে

কবিতার অসম্ভব বীজগুলি প্রতিশোধ নেয়।

সব কিছু সমস্ত অর্জন সুখ-স্বস্তি-স্বচ্ছলতা অর্থহীন মনে হয়।

বাশিঁ ডাকে, বাশিঁ বাজে, সেই বাশিঁ বাজে,

জীবন আচ্ছন্ন করা বাশিঁ বাজে যমুনা-পুলিনে।

Ahasan

অতটুকু চায়নি বালিকা!

অত শোভা, অত স্বাধীনতা!

চেয়েছিল আরো কিছু কম,

আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে

বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল

মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!

অতটুকু চায়নি বালিকা!

অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম!

চেয়েছিল আরো কিছু কম!

একটি জলের খনি

তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল

একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

Ahasan

নানা গোপনতার মধ্যে আমি বাস করি,

আমার পায়ের আঙুলে রেগে নুড়ি বাজলে আমি শুনি ঝর্ণা

সে-আওয়াজ কি আর কারো কাছে পৌঁছয়?

একটা ঝিঁঝির ডাক যেই ওঠে সারা বন অন্ধকারে দুলতে থাকে

আর সারা শুন্য গাছপালার কথা চালাচালিতে ভরে যায়,

ছড়িয়ে পড়ে অরণ্যের ছায়া তারপর কাঁকরমাটির সবুজ

পাহাড় আঁকড়ে-ধরা শেকড়ের খবর আসে,

আমি তা বুকে চেপে রাখি। কেউ কি তা জানে?

কেই-বা জানে আমার রাজ্য-সমাচার?

অনেক গোপনতা ধরে রাখার ফন্দিও আমার অনেক,

যখন চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে শিরাতন্তু থেকে

আমি হোহো হাসিতে চমকে দিচ্ছি আকাশ,

দ্যাখো দ্যাখো কী ফুর্তিবাজ বলে কত হাততালি জোটে

তখন আমি যেন জয়গর্বে আরো ফুর্তিবাজ হয়ে উঠি,

আমি যে সময়ের চকচকে ধারের উপর পা রেখে হাঁটছি

আমি যে এগিয়ে যাচ্ছি প্রকাণ্ড পাথরচাঙের ফাঁকে

সে-কথা কাওকে আমি জানতে দিই না। কেন দেব?

আমি তো জীবনমরণ খেলায় কাওকে আমার শরিক করিনি।

আমার গোপনতা নিয়ে আমি আছি

সবাই দেখছে চিকচিক চোখের কোণ ঠোঁটের বাঁকা টান

আর আমি দেখছি মুহুর্মুহু মেঘবিদ্যুৎ

বুকের মধ্যে শুনছি সমস্ত ওলটপালটের বাজনা,

গোপনতায় আমি বুঁদ হয়ে আছি।

Ahasan

১.

থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক

একলা থাকার খুব দুপুরে

একটি ঘুঘু ডাকুক

২.

দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা

বুঝতে কেন পাছো না ছাই

মানুষ আমি, যন্ত্র না!

৩.

চোখ কেড়েছে চোখ

উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক

Ahasan
তোমায় আমি দেখেছিলাম ব’লে
তুমি আমার পদ্মপাতা হলে;
শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরে
শুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরে
খুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে।

নদী সাগর কোথায় চলে ব’য়ে

পদ্মপাতায় জলের বিন্দু হ’য়ে
জানি না কিছু-দেখি না কিছু আর
এতদিনে মিল হয়েছে তোমার আমার
পদ্মপাতার বুকের ভিতর এসে।

তোমায় ভালোবেসেছি আমি, তাই
শিশির হয়ে থাকতে যে ভয় পাই,
তোমার কোলে জলের বিন্দু পেতে
চাই যে তোমার মধ্যে মিশে যেতে
শরীর যেমন মনের সঙ্গে মেশে।

জানি আমি তুমি রবে-আমার হবে ক্ষয়
পদ্মপাতা একটি শুধু জলের বিন্দু নয়।
এই আছে, নেই-এই আছে নেই-জীবন চঞ্চল;
তা তাকাতেই ফুরিয়ে যায় রে পদ্মপাতার জল
বুঝেছি আমি তোমায় ভালোবেসে।
Ahasan

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,

সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে

অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধুসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,

আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রেরপর

হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,

তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‌‌এতদিন কোথায় ছিলেন?

পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন

সন্ধা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;

পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন

তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;

সব পাখি ঘরে আসে-সব নদী-ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;

থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

Ahasan

এই মেঘলা দিনে একলা
ঘরে থাকেনাতো মন
কাছে যাবো তবে পাবো
ওগো তোমার নিমন্ত্রণ

যুঁথি বলে ওই হাওয়া
করে শুধু আসা যাওয়া
হায় হায়রে দিন যায়রে
ভরে আঁধারে ভুবন
কাছে যাবো তবে পাবো
ওগো তোমার নিমন্ত্রণ

শুধু ঝরে ঝর ঝর
আজ বারি সারাদিন
আজ যেন মেঘে মেঘে
হলো মন যে উদাসীন
আজ আমি ক্ষণে ক্ষণে
কি যে ভাবি আনমনে
তুমি আসবে ওগো হাসবে
কবে হবে সে মিলন
কাছে যাবো তবে পাবো
ওগো তোমার নিমন্ত্রণ
————–
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
Ahasan

লিখেছেন রাজিব আহমেদ
দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী গভর্ণর ড. আতিউর রহমানের ছেলেবেলা কেটেছে গরু-ছাগল চরিয়ে ! সেখান থেকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে তাঁকে অনেক ত্যাগ স্বীকার ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেই কাহিনী শুনুন তাঁর মুখেই।
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।
আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা !
আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।
আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না !
এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।
নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।
পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় !
স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।
দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি।
যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে। ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।
বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম।
আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম।
আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।
আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি ! আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।
সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।
পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করে ফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্স হবে না।
হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না !
এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।
আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।
প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।
আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না !
Ahasan
1)

ভিক্ষুক :- স্যার.. ২০টা টাকা দেন.. কফি খাবো।
লোক :- কেন ?? কফি তো ১০ টাকা কাপ..
ভিক্ষুক :- স্যার, সাথে গার্লফ্রেন্ড আছে তো, তাই..
লোক :- ভিক্ষুক হয়ে গার্লফ্রেন্ড ও বানিয়েছ..
ভিক্ষুক :- জ্বী না স্যার.. গার্লফ্রেন্ডই বরং আমাকে ভিক্ষুক বানিয়েছে ।।

2)

প্রেমিকাঃ তুমি কি আমায় ভালোবাস?
প্রেমিকঃ বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করো?
প্রেমিকাঃ ধরো তোমার সার্টের পকেটে মাত্র 500 টাকা আছে, আমি 500 টাকাই চাইলাম, তুমি দিতে পারবে?
জরুরি টাকাটায় প্রেমিকা চোখ পরেছে দেখে, বিব্রত প্রেমিক নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, কেনো পারবো না, একশবার পারবো | তবে পরীক্ষা তারিখটা একটু পিছানো যায় না |

3)

একবার এক মহিলা মারা গেছেন। লাশ নিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। স্বামীর পিছনে একটি কুকুর, এর পিছনে কয় এক হাজার লোক। এক লোক এসে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলো যে,
–কি হইছে ভাই…এত লোকজন কেন?
–আমার বউ মারা গেছে
– সরি, তো কিভাবে মারা গেল?
–ওইযে কুকুরটা দেখতে পাচ্ছেন এর কামড় এ
– ভাই আমারে একটু ধার দিবেন আপনার কুকুরটা।
– ঠিক আছে তাইলে লাইন এর পিছনে গিয়া সিরিয়াল দেন।

4)

স্ত্রীঃআমি একটা কথা বলি?
স্বামীঃ হ্যা বলো
স্ত্রীঃ মারবেনাতো !
স্বামীঃ না
স্ত্রীঃ আমি মা হতে চলেছি
স্বামীঃ আরে এটাতো খুশির কথা , এর জন্য তোমাকে মারব কেন?
স্ত্রীঃ বিয়ের আগে যখন আমার বাবাকে এই কথা বলেছিলাম তখন অনেক মার খেয়েছিলাম

5)

ছেলেঃ বাবা আমি কত বড় হলে আম্মুকে না বলেই বাইরে যেতে পারবো?
বাবা (দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বললো): এত বড়তো আমিই হই নাই

6)

বাড়ি থেকে পালাচ্ছে এক তরুণী। গেটের কাছে অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক। উভয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রেমিক : তোমার বাবা টের পাননি তো?
প্রেমিকা : উনি বাসায় নেই।
প্রেমিক : বল কী? এত রাতে বাসার বাইরে?
প্রেমিকা : আমাদের জন্য ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন।

7)

দিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, “ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে।”
ডাক্তার বললেন, “কি রকম ? ”
রোগী বলল, “আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি”
ডাক্তার বলল, “ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো।”
রোগী বলল, “হারামজাদা, কয়বার খুলে বলব!!!”

8)

এক রোগী অপারেশন থিয়েটার থেকে ছুটে পালাচ্ছেন । তাকে এভাবে ছুটতে দেখে এক ডাক্তার তার পথ আগলে দাঁড়ালেন।
ডাক্তার : ব্যপার কী, আপনি এভাবে পালাচ্ছেন কেন?
রোগী : সাধে কী আর পালাচ্ছি?
ডাক্তার : ঘটনাটা খুলেই বলুন না।
রোগী : নার্স বলছেন, খুব সহজ অপারেশন, ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ডাক্তার : নার্স তো ঠিকই বলেছেন।
রোগী : তিনি কথাটি আমাকে বলেননি, বলেছেন যিনি অপারেশন করবেন, সেই ডাক্তারকে।

9)

অপারেশরেন রুগীকে কয়েকদিন পরে দেখে -
ডাক্তারঃ আরে আপনি! কি খবর? এখন কেমন আছেন? কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?
রোগীঃ না, কোন সমস্যা হচ্ছে না। তবে হয়েছি কি এখন দম নেয়ার সময় আর ছাড়ার সময় বুকের ভেতরটায় টিকটিক শব্দ করে।
ডাক্তারঃ (বেশ আনন্দের সঙ্গে) তাইতো বলি, আমার এত দামি ব্রান্ডের হাত ঘড়িটা কই গেল?

10)

রোগী : ডাক্তার সাহেব আমি খুব চুলকানির সমস্যায় ভুগছি। দয়া করে আমাকে একটা ওষুধ দিন।
ডাক্তার : দোকান থেকে এই ওষুধটা কিনে নিন।
রোগী : এতে কি চুলকানি সেরে যাবে?
ডাক্তার : আমি আপনার নখ বড় করার ওষুধ দিয়েছি। যাতে আপনি ভালোভাবে চুলকাতে পারেন।

11)

রোগীঃ ডাক্তার সাব, আপনি বলেছেন চশমা নিলে আমি পড়তে পারব।
ডাক্তারঃ নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সন্দেহ কি?
রোগীঃ তাহলে ভালোই হবে। আমিতো পড়তে জানতাম না ।

12)

ডাক্তারঃ মনে হয় ঔষধ টায় কাজ হয়েছে। আজ আপনার কাশির আওয়াজটা বেশ ভাল ঠেকছে।
রোগীঃ ভাল তো ঠেকবেই। কাল সারা রাত জেগে কাশিটা প্রাকটিস করেছি যে!

13)

ডাক্তার এর কাছে রোগীর ফোন।
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান! আমি মনে হয় ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যাবো।
ডাক্তার : একটু অপেক্ষা করুন, আমি ২০ মিনিটের মধ্যে আসছি।

14)

ডাক্তার সাহেব, আমার ছেলে আমার কলম গিলে ফেলেছে তাড়াতাড়ি আসুন |
আপাতত পেন্সিল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিন | আমি আসছি |

15)

ডাক্তারঃ এক্স-রে করে দেখলাম, আপনার পেটে অনেক চামচ জমা হয়েছে। কেন বলুন তো?
রোগীঃ আপনি তো বললেন দৈনিক দুই চামচ খেতে।

16)

বলো তো সেক্স করার সময় ছেলে না মেয়ে কে বেশি আনন্দ পায়?
: অব্যশই মেয়ে |
: কেন ?
: যখন কাঠি দিয়ে কান খোঁচাও আরামটা কোথায় লাগে, কানে না লাঠিতে ??

17)

একলোক এক ট্রাফিক মহিলাকে বিয়ে করল | বাসর রাতের পরদিন ট্রাফিক মহিলা ১০০০ টাকা জরিমানা করল এভাবে
-ওভার স্পীড ৩০০
- হেলমেট না পরা ৩০০
- রং ওয়ে এট্রি ৪০০

18)

এক লোক ডাক্তার দেখাতে গেছে কারন তার ... দাড়ায় না | ডাক্তার শুনে বললেন, বিয়ে করছেন?
: না |
: প্রেমিকা আছে ?
: না |
: পরকীয়া করেন ?
: না |
: টানবাজার যান ?
: না |
: মাস্টারবেট করেন?
: না |
ডাক্তার ক্ষেপে বললেন, " ওই মিয়া, তাহলে দাড়া করায়ে কি করবেন? ক্যালেনডার টাঙ্গাইবেন!!!"

19)

এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে।
ফরাসী বলছে, ‘গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।’
ইতালীয় বলছে, ‘গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।’
বাঙালি চুপ করে আছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, ‘তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক’বার আদরসোহাগ করেছো?
বাঙালি বললো, ‘একবার।’
ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, ‘তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো?’
‘ওগো, থামো, আর না …।’

20)

এক লোকের তিনটি বিচি | সে এটা নিয়া খুবই চিন্তিত | লজ্জায় কাউকে বলতে পারছে না | উপায় না দেখে ডাক্তারের কাছে গেল |
লোক : লজ্জিত হয়ে ডাক্তারকে বলছে, ডাক্তার সাহেব আপনার আর আমার মিলে ৫ টি |
ডাক্তার : কি বলেন বুঝতে পারছি না |
লোক : আরে আপনার আর আমার মিলে ৫ টি |
ডাক্তার : কিছুই বুঝতে পারছি না | পরিস্কার করে বলুন |
লোক : উপায় না দেখে বলল, আপনার আর আমার মিলে ৫ টি বিচি ||
ডাক্তার : তাহলে কি আপনার ১ টি ??

21)

বাবুর বড় বিপদ, ২৫ ইঞ্চি দীর্ঘ প্রত্যঙ্গ নিয়ে গাড্ডায় পড়েছে সে। কোনও মেয়েকে সে ঠিক খুশি করতে পারে না, আবার এই আকৃতি নিয়ে তার নিজেরও নানা হাঙ্গামা। একদিন জঙ্গলে এক দরবেশ বাবার আস্তানায় ধর্ণা দিলো সে। তার সমস্যার কথা খুলে বলে কাকুতিমিনতি করে জানালো, বাবা যদি কোনোভাবে ২৫ ইঞ্চি থেকে তাকে ১০-এ নামিয়ে আনতে পারেন, সে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
দরবেশবাবা মিনিট পাঁচেক চোখ বুঁজে ধ্যান করে বললেন, “এখান থেকে সোজা উত্তর দিকে বনের এভতর পাঁচশ কদম হাঁটলে একটা কুয়ো পাবি। ওখানে বাস করে এক মাদী ব্যাং, কিন্তু মানুষের জবানে কথা বলে। তাকে শুধাবি তোকে সে বিয়ে করতে চায় কি না। যদি উত্তরে না বলে, ৫ ইঞ্চি কমে যাবে। এখন যা বেটা। হক মাওলা!”
বাবু ৫০০ কদম এগিয়ে কুয়ো খুঁজে পেলো। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো, বাস্তব, একটা ব্যাং বসে। সে গলা খাঁকরে শুধালো, “ইয়ে ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, “না!”
বাবু টের পেলো, ২০-এ নেমে গেছে সে। কিন্তু এতেও অসুবিধা হবে ভেবে সে আবারো জিজ্ঞেস করলো, “ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
আবারও গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, “না!”
বাবু ১৫-তে নেমে এলো।
উল্লসিত বাবু আবারো জিজ্ঞেস করলো, “বলি ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
এবার উত্তর এলো, “এক কথা কতবার বলবো তোকে ব্যাটা হারামজাদা? না, না, না!”

22)

বনের রাজা টারজান তিরিশ বছর ধরে জঙ্গলে বাস করছে, সেখানে নানারকম পশুপাখি থাকলেও কোন মানুষ নেই। উদ্ভাবনী মস্তিষ্কের অধিকারী টারজান তাই বিভিন্ন গাছের গায়ে ফুটো করে নিয়েছে, প্রথম রিপুকে মোকাবেলা করার জন্যে।
মহিলা সাংবাদিক জেন একদিন জঙ্গলে গিয়ে দেখলো, টারজান মহা উল্লাসে একটি গাছের সাথে প্রেম করে চলছে।
এই দৃশ্য দেখে জেন খানিকটা ভালোবাসা, খানিকটা অনুকম্পা বোধ করলো টারজানের জন্যে, সে জামাকাপড় খুলে আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এসে টারজানের উদ্দেশ্যে নিজেকে নিবেদন করলো।
টারজান তখন গাছ ফেলে ছুটে এসে জেনকে অবাক চোখে কিছুক্ষণ দেখলো, তারপর জেনের পেটে কষে একটা লাথি মারলো।
পেট চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো জেন। ‘জংলি ভূত, আমি তোমাকে প্রেম নিবেদন করলাম, আর তুমি কি না আমাকে লাথি মারলে?’ চেঁচিয়ে উঠলো সে।
টারজান এগিয়ে এসে জেনকে জাপটে ধরে বললো, ‘সবসময় চেক করে দেখি, কাঠবিড়ালি আছে কি না।’

23)

বাবুর অফিসের কাজে মন বসে না। তার গা ম্যাজম্যাজ করে, মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে।
বস একদিন ডাকলেন তাকে।
'শোনো, এভাবে তো চলবে না। তোমাকে চাঙা হতে হবে। আমারও এরকম হতো আগে। তখন কী করতাম জানো? লাঞ্চ আওয়ারে বাড়ি চলে যেতাম। তোমার ভাবীর হাতের মজার রান্না খেয়ে, ঘন্টাখানেক তাকে চুটিয়ে আদর সোহাগ করতাম ... হে হে, বুঝতেই পারছো, কী বলতে চাইছি। এরপর থেকে আমি একদম চাঙা, কোন সমস্যা হয় না। তুমিও ওরকম একটা কিছু করে দেখো, ফল পাবে।'

হপ্তাখানেক পর বস দেখলেন, অফিসে বাবুর কাজ চলছে দারুণ। টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার নিয়ে দক্ষযজ্ঞ কান্ড একেবারে। বস হাসলেন, 'কী মিয়া, পরামর্শ কাজে লাগলো?'

বাবু উৎফুল্ল গলায় বললো, 'জ্বি স্যার, একেবারে হাতে হাতে। আর ভাবীর হাতের রান্না তো অপূর্ব!'

24)

নিজের ইচ্ছেশক্তি পরীক্ষার জন্যে এক ভদ্রলোক ঠিক করলেন, তিনমাস তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে তাঁর স্ত্রীর তেমন আগ্রহ না থাকলেও ভদ্রলোকের প্রস্তাবে রাজি হলেন তিনি।
প্রথম কয়েক হপ্তা তেমন একটা সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয় মাস থেকে শুরু হলো সমস্যা। ভদ্রমহিলা তখন বোরখা পরে আর রসুন চিবিয়ে ঘুমুতে গেলেন। বহুকষ্টে দ্বিতীয় মাস কাটানোর পর তৃতীয় মাস থেকে সত্যিই খুব কষ্ট হতে লাগলো। মহিলা বাধ্য হলেন ভদ্রলোককে ড্রয়িংরূমের সোফায় ঘুমুতে পাঠানোর জন্যে, আর রাতে নিজের ঘরের দরজায় খিল এঁটে রাখতে হলো তাঁকে।
এমনি করে তিনমাস শেষ হলো। একদিন ভোরে শোবার ঘরের দরজায় টোকা পড়লো। ঠক ঠক ঠক।
‘বলো তো আমি কে?’ ওপাশ থেকে ভদ্রলোকের গলা ভেসে এলো।
‘আমি জানি তুমি কে!’ উৎফুল্ল গলায় বললেন মহিলা।
‘বলো তো আমি কী চাই?’
‘আমি জানি তুমি কী চাও!’
‘বলো তো আমি কী দিয়ে দরজায় নক করছি?’

25)

শপিং সেরে বাড়ি ফিরতেই ছোট্ট বাবু তার মাকে বললো, “মা মা, আজ কী হয়েছে শোনো, আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢুকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো …।”

এটুকু শুনেই বাবুর মা তাকে থামিয়ে দিলেন। মুখখানা গম্ভীর করে বললেন, “ব্যস, আর একটা শব্দ না। এবার বাবা ফিরলে তুমি যা দেখেছো, তা আবার ঠিক ঠিক বলবে, কেমন?”

বাবুর বাবা বাড়ি ফিরতেই বাবুর মা মুখ ঝামটা দিলেন। “তোমার মতো একটা লম্পটের সাথে আমি আর সংসার করবো না।”

বাবুর বাবা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, “কেন?”

তখন বাবুর মা বললেন, “বল বাবু, কী দেখেছিস গুছিয়ে বল।”

বাবু বললো, “আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো, তারপর তুমি আর আক্কাস আঙ্কেল গত পরশু দিন দুপুরে যা করেছিলে, বাবা আর টিনা আন্টি তা-ই করতে লাগলো …।”
Ahasan

Blog এর লেখা রঙ্গীন এবং ফ্রন্ট ছোট-বড় করা ত আপনারা শিখে ফেলছেন।
কিন্তু মাত্র ৭ টা color এ আমার মন ভরল না।
Blog চাই হাজার হাজার colour এ রঙ্গীন করতে।

এজন্য আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না। আমি নিচে একটি এইচ-টি-এম-এল এর কোড দিচ্ছি এটি লেখার প্রথমে paste করে পছন্দ সই কলার code এবং কত সাইজের ফ্রন্ট চান সেই সাইজের ভেল্যু উল্ল্যেখ করে দিলেই আপনার লেখা আপনার মনের মত রঙ্গীন হয়ে উঠবে এবং সাইজ ও বড় ছোট করা যাবে।

p style="font-size: 20pt; color: #cc0033"

এই লাইনটা copy করে শুরুতে এবং শেষে < >এই কোডটি লাগিয়ে দিবেন এবং color code chart থেকে পছন্দ মত color code দিবেন। ৬ digit color code এ যেকোন ৬ টা digit দিলেই ১ টা নতুন color হয়ে যাবে।
Ahasan

আমার Classmate ধর্ম ভী্রু নূ্রুর Primary school job এর শুরুর দিকের ঘটনা।
হেডমাষ্টার সাহেবের এক হাস্যকর উক্তিতে আমরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি।
তখন স্কু্লে গরীব ছাত্রদের গম দেওয়া হত।
হেডমাষ্টার সাহেবের কাছে নূ্রুর প্রশ্ন: Sir ছাত্রদের কে ত ৫ কেজি গম দেওয়ার কথা কিন্তু সারে ৪ কেজি দেওয়া হইতেছে যে?
হেডমাষ্টার সাহেব: জানেন ত আমাদের salary কম তাই এখান থেকে আমরা কিছু উপরি পয়্সা পাই।
নূ্রু: Sir এই উপরি পয়্সা খাওয়া কি ঠিক?
হেডমাষ্টার সাহেব: না:… এটা খাওয়া ঠিক না, তাইত আমরা এই পয়্সা খাই না, রিক্সা ভারা টারা দিয়া দেই।
Ahasan

উপকরণ কি লাগবে:
ময়দা-১ কাপ
দুধ- ১ কাপ
ডিম-২ টি
লবন-পরিমান মত
ভাল করে মিক্স করে নিন

প্রস্তুত প্রণালী:
ফ্রাই প্যান এ সামান্য তেল দিয়ে ১/৩ অংশ করে ৩ বার ডেলে ভেজে নিন।একটু জেলি মেখে খেয়ে নিন।
Ahasan
অনেক নারী আমাকে দিয়েছে প্রেম
বাড়িয়েছে হাত, শুনিয়েছে, ভালোবাসি
তাতে পেয়েছি কি প্রেম? আমি
ভীষণ করে চেয়েছি, বারে বারে
এখনো চাই

জীবনানন্দকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলেন
নাটোরের বনলতা সেন।
কিন্তু একুশ শতকের এই কবিকে
না! কেউ না!

ভোরের দিগন্তে যখন সূর্য ওঠে
ভাবী কোনো নারীর প্রেমে দিনের সত্য ধ্রব হয়ে উঠবে
আমার সামনে এসে দাঁড়াবে বলবে, কবি, তোমাকে চাই।
রাতের অন্ধকারে জোনাকী ঝিলিককে ভাবি
প্রেমে আকুল কোনো নারীর ইশারা

সন্ধ্যার রাস্তার মোড়ে বা পার্কের ধারে
অন্যেরা বনিতা বলে, আমি বলি পবিত্র মানবী
সুখ ও দুঃখের মিশেলে আলো আঁধারে ইশারা করে

ভুলে যাই জীবনানন্দকে, ভুলে যাই রাতকে দিনকে
ফিরে যাই জন্ম পৃথিবীতে।

পবিত্র মানবী আমার, পৃথিবীর উত্তাপ বেড়েছে
পর্বত চূড়ায় বরফ গলছে-ভেতরে ক্ষরণ চলছে
বাহিরে দালান উঠছে আকাশ ছুঁইছে, পৃথিবী কাঁদছে
সাগর মাটিতে উঠে আসছে, জলরাশি উত্তাল হচ্ছে
পৃথিবী দোষে ভরে গেছে।

পবিত্র মানবী চোখে ভবিষ্যতের ভয়াবহতা
তাঁর গাঢ় লিপষ্টিক প্রথম সূর্যের কথা বললো
তাঁর কপালের টিপ চন্দ্রের কথা বললো।

তাঁর দাঁড়ানো ভাষ্কর্যমূর্তির কাছে মোনালিসা কেন,
পৃথিবীর তাবৎ চিত্রকর্ম ফেল! ফেল! ফেল!
পৃথিবীর কবিতারা তাঁকে ঘিরে দাঁড়ালো।

কবি এক দণ্ড এই দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিল,
কবি বর পেয়েছিল কবিতার
কবির রিক্সা দ্রুত চলে গেল।
Ahasan
গুণের চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা
নদীর জল তোমাকে যেভাবে পেয়েছে
আমি সেভাবে পাই নি!

লাক্স সাবান যেভাবে তোমাকে ছুঁয়েছে
আমি সেভাবে ছুঁইনি।
মেডলিন লিপস্টিক যেভাবে তোমাকে চুমু খেয়েছে
আমি সে সুযোগ পাই নি।

প্রসাধন ঘরের চারদেয়াল তোমাকে যেভাবে দেখেছে
আমি সেভাবে তোমাকে দেখিনি।
গাঢ় অন্ধকার যেভাবে তোমাকে আলিঙ্গন করেছে
আমি তো তা পারি নি।

দিনের আলো যেভাবে তোমাকে দূরে সরিয়েছে
আমি সে প্রশ্রয় পাই নি
বেসিনের জল যেভাবে তোমার হাত ধরেছে
আমি সে সুযোগও পাই নি

তোমার হাতের বই বুক পর্যন্ত যেভাবে গড়িয়েছে
দেখে তো আমার ঈর্ষাই হয়েছে
এভাবে স্পর্শকাতর কবি ঈর্ষাকাতর হয়েছে
করেছে ভ্রমণ স্বপ্নের ভিতর
ঘুরেছে ঘোরে ঘোর ঘোরতর।

ম্যাক্সির ভিতর যেভাবে তুমি ঢুকেছো
আমার আলিঙ্গনে সেভাবে তুমি আসো নি
রাতের আকাশ যেভাবে তোমাকে দেখেছে
বৃষ্টির জল যেভাবে তোমাকে জড়িয়েছে
দিনের সূর্য যে উত্তাপ তোমাকে দিয়েছে
তোমার শরীরে পৃথিবীর পরে
আমি সে সুযোগ পাই নি।

ভোরের বায়ু তোমার এলায়িত চুলে
যেভাবে হাত বুলিয়েছে
এই কবি কি সে সুযোগ পেয়েছে?
ভিনদেশী পারফিউম তোমার গাঁয়ে যেভাবে গন্ধ মেখেছে
এই কবি কি তা পেরেছে?
Ahasan
ধরে নাও তোমাকে আলিঙ্গন করব
আমার একটি হাত নেই
তোমার সাথে নাচব
আমার একটি পা নেই
তোমাকে দুচোখ ভরে দেখব
আমার একটি চোখ নেই
দু’কান ভরে শুনব তোমার কথা
আমার একটি কান নেই
তাতে কি? তুমি আছ তো।

ধরে নাও এর উল্টোটা
আলিঙ্গন করার জন্য আমার দুটি হাত আছে
নাচার জন্য আমার দুটি পা আছে
দেখার জন্য আমার দুটি চোখ আছে
কথা শুনার জন্য আমার দুটি কান আছে
মোট কথা আমার সবই আছে
শুধু তুমি নেই। না ! মানি না।