Ahasan
অনেক নারী আমাকে দিয়েছে প্রেম
বাড়িয়েছে হাত, শুনিয়েছে, ভালোবাসি
তাতে পেয়েছি কি প্রেম? আমি
ভীষণ করে চেয়েছি, বারে বারে
এখনো চাই

জীবনানন্দকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলেন
নাটোরের বনলতা সেন।
কিন্তু একুশ শতকের এই কবিকে
না! কেউ না!

ভোরের দিগন্তে যখন সূর্য ওঠে
ভাবী কোনো নারীর প্রেমে দিনের সত্য ধ্রব হয়ে উঠবে
আমার সামনে এসে দাঁড়াবে বলবে, কবি, তোমাকে চাই।
রাতের অন্ধকারে জোনাকী ঝিলিককে ভাবি
প্রেমে আকুল কোনো নারীর ইশারা

সন্ধ্যার রাস্তার মোড়ে বা পার্কের ধারে
অন্যেরা বনিতা বলে, আমি বলি পবিত্র মানবী
সুখ ও দুঃখের মিশেলে আলো আঁধারে ইশারা করে

ভুলে যাই জীবনানন্দকে, ভুলে যাই রাতকে দিনকে
ফিরে যাই জন্ম পৃথিবীতে।

পবিত্র মানবী আমার, পৃথিবীর উত্তাপ বেড়েছে
পর্বত চূড়ায় বরফ গলছে-ভেতরে ক্ষরণ চলছে
বাহিরে দালান উঠছে আকাশ ছুঁইছে, পৃথিবী কাঁদছে
সাগর মাটিতে উঠে আসছে, জলরাশি উত্তাল হচ্ছে
পৃথিবী দোষে ভরে গেছে।

পবিত্র মানবী চোখে ভবিষ্যতের ভয়াবহতা
তাঁর গাঢ় লিপষ্টিক প্রথম সূর্যের কথা বললো
তাঁর কপালের টিপ চন্দ্রের কথা বললো।

তাঁর দাঁড়ানো ভাষ্কর্যমূর্তির কাছে মোনালিসা কেন,
পৃথিবীর তাবৎ চিত্রকর্ম ফেল! ফেল! ফেল!
পৃথিবীর কবিতারা তাঁকে ঘিরে দাঁড়ালো।

কবি এক দণ্ড এই দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিল,
কবি বর পেয়েছিল কবিতার
কবির রিক্সা দ্রুত চলে গেল।
Labels: | edit post
0 Responses